About Us


আমদের লক্ষ ও উদ্দেশ্য হল বাংলাদেশি ভাই, বোন যারা এস্তনিয়াতে পড়াশুনা করতে আগ্রহী তাদেরকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করা । আমরা alrady যে যে তথ্য দরকার, তার সবই এখানে দিয়েছি। তার পরও এস্তনিয়াতে পড়াশুনা বিষয়ে যে কোন প্রশ্ন আমাদের কে জিজ্ঞাস করতে পারেন, আমরা চেষ্টা করব সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে।




কেন এস্তনিয়াতে পড়তে যাবেন?

অনেকেই এস্তনিয়া কে পড়ালিখার জন্য পছন্দ করেন মূলত দুইটি কারনে। প্রথমত, সবচেয়ে কম খরচে পড়ার সুযোগ, এবং ২য়ত  ইউরোপে ঢুকার রাস্তা হিসাবে এস্তনিয়া একটি Good Choice. আমরা জানি সবাই ২য় কারণটি মনে মনেই চিন্তা করেন।  আসুন কিছু বাস্তব সম্মত কারন দেখি। 


Tution Fee তুলনামূলক ভাবে কমঃ 
অন্যান্য দেশের তুলনায় এস্তনিয়াতে Tution Fee তুলনামূলক ভাবে  অনেক কম। অন্যান্য দেশে যেখানে মাস্টার্স করতে সুধু মাত্র টিউশন ফি চলে যায় ১৪-১৫ লাখ টাকা, সেখানে এস্তনিয়াতে আপনি সহজেই ৪-৫ লাখ টাকায় ভাল একটা বিষয়ে মাস্টার্স করতে পারবেন। আপনি যদি মেধাবী হন, তাহলে আপনার জন্য স্কলারশিপ এর ব্যবস্থাও আছে। আবার অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে টিউশন ফি ও নেয় না। 

পার্ট-টাইম কাজের সুবিধাঃ
আপনি যদি ইংরেজি ভাল জানেন এবং আপনার কোন কাজের অভিজ্ঞতা বা কোন স্পেশাল ট্রেনিং থাকে তাহলে আপনার জন্য কাজের অভাব নাই। পার্ট-টাইম কাজ করে আপনি এখানে মোটামোটি চলতে পারবেন। আপনার বাসা ভাড়া বা খাওয়ার খরচ চলে আসবে কিন্তু Tution Fee আপনাকে সংগে করে নিয়ে আসতে হবে। এখানে কাজ করে আপনি Tution Fee জমাতে পারবেন বলে মনে হয় না। 


অন্যান্য কারণ সমূহ!!

আত্মসর্মদ্ধিঃ 
যারা বিদেশে লেখা পড়া করেন তারা বিচিত্র অভিজ্ঞতার কারণে বুদ্ধিমাত্রা ও মননশীলতার দিক থেকে অধিকতর সম্মৃদ্ধ হয়ে ওঠেন। নতুন দৃষ্টিভঙ্গিতে ভাবতে শেখা এবং স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করার ফলে তারা অধিক স্বাধীন এবং অধিক দক্ষভাবে চিন্তা ও কাজ করতে শেখেন। যে কোন চ্যালেঞ্জিং কাজ বা পেশায় সফল হওয়ার জন্য জরুরি অনেক গুণ জরুরি অনেক গুন তাদের মধ্যে অধিক বিকশিত হয় যা অনেক ক্ষেত্রে দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে লক্ষ করা যায় না। তাই দেখা যায়, বিদেশে থাকার অভিজ্ঞতা অত্যন্ত মূল্যবান, এমনকি কখনো কখনো তা ব্যাক্তির সামগ্রিক জীবনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। নতুন সংস্কৃতির সাথে পরিচয় এবং সেখান থেকে অর্জিত জ্ঞান আপনাকে অধিকতর আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে। ফলে স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের পরে আপনার শিক্ষা ও অভিজ্ঞতার যথাযথ মূল্যায়ন হবে।



বিশ্ব সম্পর্কে নতুন দৃষ্টিভঙ্গিঃ 

বিদেশে অবস্থানের ফলে আন্তর্জাতিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ইস্যুগুলো সম্পর্কে আপনার জ্ঞান ভান্ডার সমৃদ্ধ হবে। এটা নিশ্চিত যে, বিদেশে অবস্থানের পরিবর্তিতে বিশ্ব সম্পর্কে আপনি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ফিরে আসবেন। একটি ভিন্ন সংস্কৃতির জনগন, তাদের প্রাত্যহিক জীবন যাত্রা সংশ্লিষ্ট নানা সমস্যা মোকাবেলার রীতিনীতি সম্পর্কে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা অর্জনের ফলে বিশ্ব সংস্কৃতি আন্তর্জাতিক সহযোগিতার বিষয়টি আপনি স্পস্টভাবে অনুভব করবেন। বিদেশে বসবাস করতে গিয়ে বিদেশি ভাষা আপনাকে শিখতে হবে। ফলে নতুন ভাষা শিক্ষা এবং এর গুরত্ব আপনি উপলব্ধি করবেন।



পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধিঃ 

বিদেশে উচ্চশিক্ষা শুধুমাত্র শিক্ষা এবং ব্যক্তিত্বকেই সমৃদ্ধ করবেনা, আপনার পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। বিশেষত ব্যবসা, আন্তর্জাতিক বিষয়বলি এবং চাকরির ক্ষেত্রে আপনার পেশাগত দক্ষতা খুবই মূল্যবান ভূমিকা রাখবে। চাকরির বাজারে আপনার চাহিদা বেরে যাবে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটদের অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। বিদেশ ফেরত গ্র্যাজুয়েটরা আন্তর্জাতিক জ্ঞানে সমৃদ্ধ এবং মাতৃভাষা ছাড়াও এক বা একাধিক ভাষাতে দক্ষ এই দুটি বিষয়ের উপর জোর দিয়ে থাকে এই প্রতিষ্ঠানগুলো। এছাড়া আন্তঃসাংস্কৃতিক যোগাযোগ, বিশ্লষণাত্বক দক্ষতা, ভিন্ন সংস্কৃতি ও সমাজের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে জ্ঞাত ও দক্ষ। এদের পক্ষে নতুন পরিস্থিতিতে বিকল্প উপায় ভাবা এবং ঝুকি নেয়া সম্ভব হয় বলে প্রতিষ্ঠানগুলো গ্র্যাজুয়েটদের জন্য সর্বোচ্চ রকম সুযোগ-সুবিধা প্রস্তাব দিয়ে থাকে নিজেদের প্রতিষ্ঠানে রাখার জন্য।


আপনার লক্ষ্য, লক্ষ্যে পৌছার পথঃ বিদেশে পড়তে যাওয়ার সম্ভাব্য বিষয়গুলো বিবেচনার পর নিজেকে প্রশ্ন করুন, কেন বিদেশে পড়তে যেতে চান। কারনগুলো খুজে বের করতে কিছুটা সময় নিন। কেননা এই কারন গুলোর সাথে জরিয়ে আছে আপনার ভবিষ্যত সম্ভাবনা। হয়তো আপনি নতুন একটি সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক অথবা নতুন ভাষা শিখতে চান, কিংবা আপনি আপনার পড়ালেখার ক্ষেত্রটিকে ভিন্নমুখী করতে চান্স বা আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন একটি ডিগ্রি অর্জন করতে চান। কারন যাই হোক না কেন, একটি নোট বইয়ে সেগুলো লিপিবদ্ধ করুন। 
(কপি পেস্ট ফ্রম আদার সোর্স😃😃😃😃)



No comments

Powered by Blogger.